শনিবার   ১৮ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১   ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
৩০২

চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৪  

দিনক্ষণ ঠিক না হলেও চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার কথা চলছে। প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান। এ উড়াল সড়কের ৪ লেনের মধ্যে দুই লেন অনেকটা প্রস্তুত। বাকি দুই লেনে চলছে বৈদ্যুতিক পোল স্থাপনসহ নানা ধরনের ফিনিশিং কাজ।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মহানগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। অথচ এখন সড়ক ধরে ভয়াবহ যানজট পেরিয়ে এটুকু পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। ফলে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসপাড়ায় আসতে জনসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ছাড়া ফ্লাইট মিসের ঘটনাও ঘটছে অহরহ।  

ভোগান্তি হ্রাস এবং পুরো মহানগরীকে যানজট থেকে রক্ষায় নির্মাণ করা হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রয়াত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এ উড়াল সড়ক গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার ৩শ কোটি টাকা।

চউক সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের টোলের হার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলবে। এজন্য সিসি ক্যামেরা এবং গাড়ি নিয়ন্ত্রণে স্পিড ক্যামেরাও স্থাপন করা হবে। যা নিয়ন্ত্রণ করবে নগর পুলিশ।

এদিকে, চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে চলতি মাসে। তবে এখনো বৈদ্যুতিক বাতিগুলো আসেনি। বাতি স্থাপন করতে পারলেই চলতি মাসেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এই উড়াল সড়ক। কারণ বাতি না থাকলে রাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই না কোনো অঘটন ঘটুক। তাই বাতি স্থাপন শেষে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করা হবে, যাতে চালকেরা নির্বিঘেœ এ সড়ক ব্যবহার করতে পারেন। 

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন হওয়ার সময় ৩ হাজার ২৫০  কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। এরপর ২০১৮ সালের মাঝে কাজ শুরু হলেও নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় পরের বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ২০২২ সালে নকশা ‘সংশোধন’করে আরও এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়। একইসঙ্গে বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। যা এ বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা।

এর মধ্যে ১৫টি র‌্যাম্প নির্মাণ এখনো হয়নি। ফলে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও বাড়বে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। খোদ চউক জানিয়েছে, আগামী বছর শেষে পূর্ণাঙ্গ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুফল পাবে নগরবাসী। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ উড়াল সড়কটি বিমান বন্দর এলাকা থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড-চট্টগ্রাম বন্দর-বারিক বিল্ডিং-আগ্রাবাদ চৌমুহনী, দেওয়ানহাট রেলসেতুর পশ্চিম পাশ দিয়ে পাহাড় ঘেঁষে টাইগারপাস মোড় হয়ে লালখান বাজার মোড় পেরিয়ে ওয়াসার মোড়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে গিয়ে মিলবে।

এ উড়াল সড়কে ওঠা-নামার জন্য ১৫টি র‌্যাম্প করছে চউক। এর মধ্যে চারটি আগ্রাবাদে। সেগুলো হলো আগ্রাবাদ জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর সড়কে একটি, চেম্বার সড়কে একটি এবং আগ্রাবাদ এক্সেস সড়কে হবে দুটি। টাইগারপাস, নিমতলা, সিইপিজেড ও কেইপিজেড এলাকায় র‌্যাম্প থাকছে দুটি করে। এ ছাড়া জিইসি মোড় হোটেল, ফকিরহাটে ও সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় থাকছে একটি করে র‌্যাম্প।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর