বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
সর্বশেষ:
প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক রেখে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২০৭

ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের জীবন বাঁচল যেভাবে

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২১  

যারা মাঠে ছিলেন তারা তো বটেই, গ্যালারির দর্শক বা টিভি পর্দায় চোখ রাখা সকলের জন্যই সে মুহূর্তটি ছিল ভয়াবহ! সতীর্থের থ্রো করা বল রিসিভ করতে এসে মাঠেই মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন ডেনমার্কের ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। এরপর নেই আর কোনো নড়াচড়া। মাঠের সবাই তখন হতবিহ্বল। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কী হলো ডেনিশ তারকার? তিনি কী বেঁচে আছেন?

অবস্থার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে দূর থেকে সতীর্থের কাছে ছুটে যান ডেনমার্ক অধিনায়ক সিমোন কায়ের। মাঠের স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছানোর আগেই এরিকসেনের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত নিজের যাবতীয় ধারণা প্রয়োগ করেন তিনি। নিশ্চিত করেন, তার দলের সেরা তারকার জিব যেন শ্বাসনালি আটকে না ফেলে। 

একই সঙ্গে বুকে চাপ দিয়ে এরিকসেনের কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখেন কায়ের। নিজেই দিতে থাকেন সিপিআর (বুকে চাপ দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা)। তার এমন তৎপরতা এরই মধ্যে সারা দুনিয়ার মনোযোগ কেড়েছে। সবাই বলছেন, সংকটের মুহূর্তে একেবারে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন ডেনিশ অধিনায়ক।

এরিসকসেন মাঠে পড়ে যাওয়ার পরের একটা ঘণ্টা ফুটবল দুনিয়ার জন্য চরম উৎকণ্ঠার ছিল। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তখন প্রার্থনা একটাই, এ যাত্রায় যেন ডেনিশ তারকা সুস্থ হয়ে ওঠেন। অনেকের কাছেই তার ফেরাটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল। এরপর উয়েফা যখন বিবৃতি দিয়ে জানাল, এরিকসেন সুস্থ আছেন, তখন কায়েরের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলোকে সবাই কৃতিত্ব দিয়েছেন।

ঘটনার পরপর মাঠেই এরিসকসেনের চারপাশে বলয় তৈরি করেছিলেন ডেনিশ খেলোয়াড়েরা। এছাড়া রেফারি অ্যান্টনি টেলর সঙ্গে সঙ্গে খেলা থামিয়ে দিয়ে চিকিৎসকদের ডেকে নেন। শনিবার রাতে সবাই যে দৃশ্য দেখেছেন, সেটি আসলেই হতবিহ্বল করে দেয়ার মতোই এক দৃশ্য। এমন সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে এরিকসেনের জীবন বাঁচাতে কায়েরের নেয়া পদক্ষেপগুলো যেকোনো বিচারেই ফুটবল ইতিহাসে জায়গা করে নেবে।

এরিকসেনকে সুস্থ করে তোলার ভয়ংকর সেই কঠিন মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন ডেনমার্ক দলের চিকিৎসক। তিনি জানান, একটা সময় এরিকসেনের হৃৎস্পন্দন বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক মার্টিন বোসেন বলেন, ‘রেফারি আমাদের মাঠে ডাকেন। আমি নিজে প্রথমে দেখিনি। তবে তখনো এটা পরিষ্কার ছিল যে এরিকসেন জ্ঞান হারিয়েছেন।’

এরপর তিনি তার চিকিৎসার ধাপগুলো বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি প্রথমে ওকে যখন দেখি, তখন সে নিশ্বাস নিতে পারছিল। তার হৃৎস্পন্দন ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তখন তাকে সিপিআর দিতে হয়। পুরো জিনিসটাই খুব দ্রুত হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এরিকসেনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর