বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
সর্বশেষ:
২৬ দিনের ছুটি পাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মেট্রোরেলের মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ভায়াডাক্ট স্থাপন শুরু চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সংখ্যা ৫০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন
১৫৩

স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ককে ‘ধর্ষণ’ গণ্য করতে লিগ্যাল নোটিশ

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২০  

স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া কোনো স্বামী যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে সেটাকে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ, অর্থাৎ ‘ম্যারিটাল রেপ’ হিসেবে গণ্য করে আইন সংশোধনে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার (১ নভেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ৭১ টিভির সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ওয়াহিদা আফসানার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহিদ চৌধুরী জনি এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বৈবাহিক ধর্ষণ, অর্থাৎ ম্যারিটাল রেপকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইনের সংশোধনী চাওয়া হয়েছে। আইনজীবী বলেন, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছি।

লিগ্যাল নোটিশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ল কমিশনের চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতরের ডিজি এবং সমাজসেবা অধিদফতরের ডিজিকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং দণ্ডবিধির কোথাও নারীর বৈবাহিক জীবনে তার স্বামী কর্তৃক যদি ধর্ষিত হয়, তাহলে ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ ওই নারী নিতে পারেন না। এছাড়া সামাজিকতার প্রেক্ষাপটে কখনো এ বিষয়টা নিয়ে জনসম্মুখে আসতেও পারেন না তিনি।

গবেষণায় তথ্য উঠে এসেছে, এ বছর দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২৭ জেলাতেই বৈবাহিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘ হিউম্যান রাইটস কমিশন ১৯৯৩ সালে বৈবাহিক ধর্ষণ, অর্থাৎ ম্যারিটাল রেপকে মানবাধিকার লংঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি দেশের বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে আইন রয়েছে। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বাংলাদেশে বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আইনি বা শাস্তির কথা উল্লেখ নেই।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈবাহিক সম্পর্ক নেই এমন কোনো ব্যক্তি ধর্ষণ করলে তার শাস্তির বিধান থাকলেও পারিবারিক নির্যাতনের মাধ্যমে যে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, তাদের জন্য আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন সংশোধন এখন সময়ের দাবি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর