শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ২০ রমজান ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
৬৫০

মানসিক চাপে তাবিথ-ইশরাক, কী হবে ভবিষ্যৎ?

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

আসন্ন ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন চরম মানসিক চাপে রয়েছেন বলে জানা গেছে। কারণ অনেক যোগ্য নেতাকে ‘অর্থজোরে’ তারা পেছনে ফেলে মনোনয়ন কিনেছেন তারা। এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে এই দুই প্রার্থী দিশেহারা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিএনপি মনোনীত এই দুই মেয়রপ্রার্থীর জনসমর্থন তলানিতে। অনেক ভোটার এই প্রার্থীদের চেনেন না পর্যন্ত। এমতাবস্থায় নিজেদের ভাবমূর্তিকে দলীয় হাইকমান্ডের কাছে উজ্জ্বল রাখতে তারা পেইড কর্মী নিয়োগ করেছেন। যাদের কাজই হলো ফুল ছিটিয়ে তাদের গুণকীর্তন করা। এতে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর মোটা অংকের অর্থব্যয় হচ্ছে। সঙ্গে ফ্রিতে যুক্ত হচ্ছে অসহ্য মানসিক চাপ। কারণ নির্বাচনে হারলে দলের কাছে তারা মুখ দেখাবেন কিভাবে?

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি অংশ বলছে, তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে তাবিথ-ইশরাককে মনোনয়ন দেওয়া হলেও একটি যোগ্য অংশ মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছে। এতে দলের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর জের ধরে অনেকে দলবিমুখ কিংবা দলত্যাগের মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটা দলের জন্য একটা অ্যালার্মিং ফ্যাক্ট।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, ১২ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেই বিএনপি। নেই তাদের রাজপথ কিংবা গলির কোন আন্দোলনও। তারা শুধু জীবিত আছে সংবাদ সম্মেলন সর্বস্ব আর নালিশী দল হয়ে। সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিপরীতে তারা ‘পরিবারতন্ত্র’ আর ‘ঘরোয়া রাজনীতি’তে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ কারণে তাদের খোদ রাজধানীতেই দলীয় কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। মুখ থুবড়ে পড়েছে মূল দলসহ সব অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম। এতে প্রশ্ন উঠেছে, রাজধানীতে যে দলের মেরুদণ্ড নেই-তার কার্যক্রম পুরো দেশে কিভাবে চলবে? আর কিভাবেই বা আন্দোলন-সংগ্রাম হবে?

সূত্রটি আরো বলছে, খালেদা জিয়া কারাভ্যন্তরে থাকায় দলের সর্বক্ষেত্রে এখন তারেক রহমানের একক আধিপত্য। তার স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত ও পদ-মনোনয়ন বাণিজ্যে এখন দলীয় অনেক নেতা-কর্মী দল ত্যাগের মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যেটা একটি রাজনৈতিক দলের জন্য অশুভ বার্তা বৈ অন্যকিছু নয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসবে, ততই মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হবেন তাবিথ-ইশরাক। এর কারণ, বিএনপির পরিবারতন্ত্র আর ঘরোয়া রাজনীতি। তাদের এই স্বজনপ্রীতির প্রতিফলন ঘটবে অনুষ্ঠেয় ঢাকা সিটি নির্বাচনে। যার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে এখনই। জনসমর্থন নেই বিএনপির। একারণে পেইড কর্মী দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে ‘লোক দেখানো’ জনসমাগম করছে তারা।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর