মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০   ০৯ রমজান ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
সর্বশেষ:
বঙ্গবন্ধু ভাবতেই পারেননি বাঙালিরা তাকে হত্যা করবে : প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মৃত বেড়ে ১০ এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বাড়ছে আতঙ্ক মানুষকে সচেতন করতে না পারলে হাসপাতাল করে প্রাণ বাচাঁনো যাবে না শুভেচ্ছা দূত হয়ে বাংলাদেশে এলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
১০৭৩

‘মডেল উপজেলা’ হবে মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনীত আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র মনজুর হোসেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব মঞ্জুর হোসেন রূপালী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল গ্রামের বাসিন্দা।

জনবান্ধব নেতা, সৎ এবং আদর্শবান মানুষ হিসেবে পরিচিত মনজুর হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনেক স্নেহের পাত্র, যাকে ছোট বেলায় আদর করে ডাকতেন ‘বুলবুল’ নামে। নির্বাচনে বিজয়ী হলে তিনি তার এলাকার শিক্ষা খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটাবেন। এ ছাড়া নারীর ক্ষমতায়নে পদক্ষেপ নেবেন। এক কথায়, নির্বাচিত হলে মধুখালী, বোয়ালমারী ও অবহেলিত আলফাডাঙ্গাকে মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। গতকাল রবিবার ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মনজুর হোসেন বুলবুল।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ে অত্যন্ত সুনাম এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিনিয়র সচিব হিসেবে এলজিআরডির লোকাল গভর্নমেন্ট ডিপার্টমেন্টে ছিলেন। বর্তমানে একটি সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। এসবের বাইরে গিয়ে কেন নির্বাচনের প্রার্থী হলেন জানতে চাইলে মনজুর হোসেন বলেন, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে একটি ধারণা আছে যে, যারা সরকারি চাকরি করেন তারা রাজনীতি বিবর্জিত মানুষ। আসলে এ ধারণা ঠিক না। আমি মনে করি, রাজনীতি সবার জীবনেই ছোঁয়া লাগায়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দলকে আবার ক্ষমতায় আনাই বড় বিষয়। আমি শেখ হাসিনার একজন প্রতিনিধি মাত্র।

মনজুর হোসেন বলেন, নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট উন্নয়নের পাশাপাশি আরো কিছু বিষয়ের উন্নয়ন ঘটাব। যেমন এলাকার স্কুল-কলেজগুলোর সংস্কারের পাশাপাশি এর পরিবেশগত উন্নয়ন ঘটাতে চাই। এ ছাড়া সঠিকভাবে যেন ক্লাস কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয় সেই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেব। দ্বিতীয়ত, আমার এলাকার নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চাই। আমি মনে করি, নারীর উন্নয়নে অনেক কিছু করার আছে। একজন মেয়ে হিসেবে সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে তার প্রাপ্য যা তা আদায় করতে হবে। নিজেদের দাবি তুলে ধরতে হবে। মেয়েরা যেন নিজেদের দাবি তুলে ধরতে পারে ও কথা বলে দাবি আদায় করতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেব।

এ ছাড়া এলাকার নদীপাড়ের সাধারণ মানুষের দুর্দশা দূরীকরণে নানা ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে মনজুর হোসেন বলেন, আমি নির্বাচিত হলে নদীশাসনের ব্যবস্থার প্রতি নজর দেব। আমি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব থাকাকালীন সময়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে দিন দিন প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে হবে। সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ও এ দেশকে এগিয়ে নিতে যেসব প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে তা সব দূরে সরিয়ে দিতে চাই।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর