শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
১৯৩

ফেরারি আসামির নেতৃত্বে বিএনপি গভীর গর্তে

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

অস্ত্রের চালান ও ঘুষ নেয়া, হত্যাযজ্ঞ চালানোসহ বেশ কয়েকটি মামলায় যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দণ্ডিত হয়ে তিনি লন্ডনে ফেরারি জীবনযাপন করছেন। আর সেখান থেকে বসেই বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ নেতৃত্বে বিএনপি গভীর গর্তে পতিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তারা বলেন, দেশের মানুষ বিএনপির অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে দলটির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। একের পর এক অপকর্মে লিপ্ত হওয়ায় দেশের মানুষ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অসন্তুষ্ট। তারা মনে করেন, রাজনৈতিক দলের জন্য নেতা ও নেতৃত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুর্নীতি আর নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডে দল কিভাবে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ বিএনপি। তাই চারদিকে কথা উঠেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপির জন্য এখন বোঝা।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে তারেক রহমানের হাওয়া ভবন বিএনপির জন্য ভয়ংকর অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর ২০১৫ সালে লাগাতার ৯২ দিন অবরোধের নামে জামায়াত-বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ড, গর্ভবতী নারীসহ প্রায় দুই শতাধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং আরো কয়েকশ’ মানুষ আগুনে পুড়িয়ে হত্যা বিএনপির ইতিহাসকে কলঙ্কময় করেছে। সেই ইতিহাস মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি, যা ক্রমাগতভাবে বিএনপিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।

হাওয়া ভবন কতখানি ক্ষতি করেছে দেশের সব মহল তা জানে। তার একটি বড় প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো একটি বার্তা। পরবর্তীতে উইকিলিকসের মাধ্যমে বার্তাটি ফাঁস হয়, যার বিবরণ ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়। ওই বার্তায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে লাগামহীন ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ক্ষমতার যথেচ্ছা অপব্যবহারের কথা উল্লেখ ছিল, যা উইকিলিকস সূত্রে পত্রিকায় ছাপা হয়।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে অলিখিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তারেক রহমান। কিন্তু দেশে নিজের এবং বিদেশে দেশের সামান্যতম ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারেননি। বরং দেশের সুনাম ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন তিনি। যুদ্ধাপরাধী দল, একাত্তরের ঘাতক জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধে তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করার পথ বেছে নিয়েছিলেন। অবাক হয়ে সেদিন সারাবিশ্ব দেখেছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সেই বর্বরতা।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিলে সংঘটিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলা, জার্মানির সিমেন্স কোম্পানি থেকে ঘুষ নেয়ার মামলায় এরই মধ্যে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত হয়ে তারেক রহমান এখন লন্ডনে পলাতক রয়েছেন।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর