মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১   ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
সর্বশেষ:
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার তাপপ্রবাহে ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে অভিযান চলবে যুদ্ধে নয়, জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থ ব্যয়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত, ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
২৬৩

‘জাতির পিতার ছবি পিছনে নয় সামনে ঝুলাতে হবে’

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০  

গণতন্ত্রের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বিশ্বস্ততা। সম্প্রতি সুইডেনের রাজনৈতিক দলগুলো এবং এর প্রধানদের বিভিন্ন কার্যকলাপের বিশ্বস্ততার ওপর একটি জরিপ করা হয়েছে। তবে যদি কোন একটি দেশের সমগ্র পরিকাঠামোতে বিশ্বস্ততার অভাব থাকে তখন এ ধরণের জরিপ গ্রহণযোগ্য হয় না। জরিপ সেখানেই সম্ভব যেখানে সত্যিকারের গণতন্ত্রের বেস্ট প্র্যাকটিস হয়ে থাকে। 

মজার ব্যাপার হলো একটি সৃজনশীল সমাজ বা দেশে এই ভাবেই রাজনীতিবিদদের কর্মের ওপর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাংবাদিকরা কড়া নজর রাখেন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যেমন বাকস্বাধীনতা থাকা দরকার ঠিক তেমনিভাবে সাংবাদিকদের মোড়াল ভ্যালু, সঠিক তথ্য যুক্তিযুক্তভাবে প্রকাশ করার মতো পরিবেশ এবং দক্ষতা থাকতে হবে। সুইডেন বা সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে এ দিকগুলোর ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়।

এখন যদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সঙ্গে এখানকার সব বিষয়ে তুলনা করি সেটা বেমানান হবে। কারণ বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীণ পরিকাঠামো এসব দেশের মতো করে এখনও গড়ে ওঠেনি। তারপরও বিষয়টি তুলে ধরছি ভালো কিছু জানা এবং শেখার জন্য। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য লার্নিং ফ্রম লার্নার এবং লার্নিং বাই ডুইং কনসেপ্ট এর ব্যবহার শেখা খুবই জরুরি।

এখন অতীতের চিন্তাচেতনা বা সংবিধানের নিয়ম কানুনকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করার সময় এসেছে। বাংলাদেশের উচিত হবে পুরাতন ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের আইন কানুনের অবসান ঘটিয়ে দেশের চাহিদা অনুযায়ী নতুন আইন তৈরি এবং তার ব্যবহার বাড়ানো। আইন ব্যবস্থার ওপর কড়া নজর দিতে হবে যেন এটা সবার জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য হয়। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমাতে হবে।

সবাইকে কোয়ালিটি লাইফের আওতায় আনতে হবে। গ্লোবালাইজেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের যুগে যুগোপযোগী কোয়ালিটি লাইফ পেতে হলে পরিবর্তনের বিকল্প নাই। প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। দুর্নীতির অবসান ঘটাতে ক্যাশ টাকার ব্যবহার বন্ধ করে কার্ডের মাধ্যমে কেনাবেচা বাড়াতে হবে।

শিক্ষাকে ভিজুয়ালিজম এবং অন দি জব ট্রেনিংয়ের সমন্বয় ঘটাতে হবে। যাকে বলা যেতে পারে লার্নিং বাই ডুইং এবং লার্ন ফ্রম লার্নার কনসেপ্টে জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্টাডি লোন দিতে হবে যাতে করে তারা বাবা মার ওপর নির্ভরশীল না থাকে।

সরকারি কর্মীদের জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে একটি গ্রহণযোগ্য বেতন দিতে হবে। সবাই যেন ট্যাক্স পে করে সেদিকে নজর দিতে হবে। শুধু বেতন বাড়ালেই বা সুযোগ সুবিধা দিলেই হবে না। সকল কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে তারা সব সময়ের জন্য নিয়োগযোগ্য থাকে।

অন্যান্য ভাষার তুলনায় বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যাতে করে জন্মভূমির প্রতি সকলের ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি গণতন্ত্রের ওপর বিশ্বাস এবং জনগণের মূল্যায়ন করতে হবে। এগ্রি টু ডিজএগ্রি কনসেপ্টের ওপর রেসপেক্ট বাড়াতে হবে।

একটি বিষয়ের প্রতি সবার একমত পোষণ করতে হবে- সেটা হলো জাতির পিতা এবং জাতীয় সঙ্গীতের ওপর কোন দ্বিমত পোষণ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে প্রেসিডেন্ট বা মন্ত্রী আসবে যাবে তবে জাতির পিতা একটি দেশে একজনই থাকেন। জাতির পিতার ছবি অফিস-আদালতে কর্মীদের পিছনে নয় সামনে ঝুলাতে হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি সিদ্ধান্ত তাকে এবং তার স্বপ্নকে মনে করিয়ে দিবে। আমাদের উদ্দেশ্য হবে সোনার বাংলা গড়তে আমাদের সিদ্ধান্তে আমরা যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকি এবং এই মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করছি।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর