আহমদ শফী হত্যা: নেপথ্যে হেফাজত নেতা বাবুনগরী-মামুনুল হক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
হেফাজতে ইসলামের মূল কেন্দ্র হচ্ছে প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আহমদ শফীর তৈরি করা হাটহাজারী মাদ্রাসা। ঐতিহাসিকভাবে হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে, তা-ই নির্ধারণ করে দেয় হেফাজতের নিয়ন্ত্রণ কোন দিকে থাকবে। বিষয়টি ভালোভাবেই জানতো জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকেরা। ফলে পিতার তৈরি করা মাদ্রাসায় পিতার অবর্তমানে পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পাবার কথা থাকলেও ষড়যন্ত্র করে বের করে দেয়া হয় আল্লামা আহমদ শফীর পুত্র আনাস মাদানীসহ তার অনুসারীদের। যার কারণে ধারণা করা হচ্ছে, আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুটি অস্বাভাবিক কিংবা হত্যাকাণ্ড। আর এরপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।
বর্তমান হেফাজতের আমির হচ্ছেন মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী। যদিও আল্লামা শফী জীবিত থাকা অবস্থায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে, কমিটির চাপে সে সময় দল থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বাবুনগরী। এরপর থেকেই হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে ষড়যন্ত্র শুরু করেন জুনায়েদ বাবুনগরী। হাটহাজারী মাদ্রাসায় প্রায় ২০ হাজার ছাত্র রয়েছে৷ তারা বিভিন্ন শিক্ষকদের অনুসারী হিসেবে নানা ভাগে বিভক্ত। বিষয়টি ভালোভাবে জানতেন বাবুনগরী। বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে তিনি হাটহাজারি মাদ্রাসায় অবস্থিত সরকার বিরোধী বিভিন্ন ইসলামিক নেতার সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করেন। অতঃপর একটি শক্তিশালী ঘাটি তৈরি করে ১১ সেপ্টেম্বর আল্লামা শফী বিরোধী নেতাদের নিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী তার ফটিকছড়ির বাসায় একটি মিটিংয়ের ডাক দেন। উক্ত মিটিংয়ে মামুনুল হক ও নাসির উদ্দিন মুনিরের মতো নেতারা অবস্থিত ছিলেন।
উক্ত মিটিংয়ে মামুনুল হক ঘোষণা করেন যে, শফী হুজুরের ছেলে আনাস মাদানীকে বহিষ্কার করা না হলে শফী হুজুরকে চরম মূল্য দিতে হবে। যার অংশ হিসেবে ১৬ তারিখ হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলন শুরু হয়।
মামুনুল হকের এমন ঘোষণাই আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার প্রথম চক্রান্ত বলে মনে করেন অনেকে।
মনে রাখা প্রয়োজন, হাটহাজারি মাদ্রাসায় ৮ হাজার ছাত্রের থাকা খাওয়ার খরচ আল্লামা শফী সাহেবের কমিটির লোকজন বহন করতো। ফলে এমন মাদ্রাসায় আন্দোলন কখনোই সম্ভব ছিলো না। যা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে।
বর্তমানে আল্লামা শফীকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন আল্লামা শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের পরিকল্পনা এবং আরেক যুগ্ম-মহাসচিব নাসির উদ্দিন মুনিরের নেতৃত্বে আল্লামা আহমদ শফীকে ‘হত্যা’করা হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে আহমদ শফীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে। যে মানুষটি অক্সিজেন ছাড়া চলতেই পারেন না, সেটা আবার হাই ফ্লো অক্সিজেন। সেখানে তাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা অক্সিজেন ছাড়া আটকে রাখা হয়েছে। এ কারণে তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে বাদী নিজস্ব ব্যবস্থায় হুজুরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা জানান, হুজুর ততক্ষণে কোমায় চলে গেছেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি অবশ্যই রহস্যজনক।
এছাড়া আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর দুই দিন আগে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে একদল উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রকে মাঠে নামানো হয়। তারা আনাস মাদানীর বিরুদ্ধে উগ্র ধর্মীয় ভাষা ব্যবহার করে স্লোগান ও গালিগালাজ করতে থাকে। আহমদ শফীর কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে আসামি নাছির উদ্দিন মুনির ধমকের সুরে বলেন, ‘তুই হচ্ছিস বুড়ো শয়তান, তুই মরবি না, তুই সরকারের দালাল।’ ৪০-৫০ জন শফীর কক্ষে গিয়ে আনাস মাদানীকে বহিষ্কার করে ওই পদে হেফাজতের বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরীকে বসানোর দাবি করতে থাকেন।
একপর্যায়ে শাহ আহমেদ শফী রাজি না হওয়ায় মামুনুল হকের মোবাইলে নির্দেশমতে নাছির উদ্দিন মুনির হেফাজত আমিরের দিকে তেড়ে যান, শফী সাহেব বসা অবস্থায় চেয়ারে লাথি মারেন। নাকের অক্সিজেন টান দিয়ে খুলে ফেললে শফী হুজুর অজ্ঞান হয়ে যান। এ সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, আনাস মাদানীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শফী হুজুর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। যদিও আল্লামা শফী সাহেবের মুখ থেকে একটি কথাও শোনার সুযোগ পায়নি সাধারণ জনগণ।
১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে শফীকে জিম্মি করে আনাস মাদানীকে বহিষ্কার ও তার পদত্যাগের ঘোষণা মাইকে বলার জন্য চাপ দেন আসামিরা। তিনি অনীহা প্রকাশ করলে তার কক্ষের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের অভাবে অক্সিজেন লাগাতে না পারায় শফী কোমায় চলে যান। তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মাদ্রাসা থেকে বের করে হাসপাতালে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। উক্ত তথ্য উপাত্তকে বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে উপনীত হওয়া যায় যে, আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর গত ১৫ নভেম্বর হেফাজতের সম্মেলন হয়। শফীপন্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে হেফাজতের আমির নির্বাচিত হন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। মহাসচিব নির্বাচিত হন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। এই কমিটিরই যুগ্ম-মহাসচিব হয়েছেন মামুনুল হক ও নাসির উদ্দিন মুনির।
- কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন ভুটানের রাজার
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিক উদ্ধারে আলোচনায় অগ্রগতি
- বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ কমছে
- দৌলতদিয়া ঘাটে চাঁদাবাজি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে
- আশ্বাস দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কাজে ফিরলেন চিকিৎসকরা
- আরও ১৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়নে ভূমি অফিস হবে
- সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- ট্রেনে ঈদ যাত্রার ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু
- প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ, লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ
- একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- কূপ খননে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্প
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- যেভাবে জানা যাবে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল
- কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা
- হাজারবর্ষী উইন্সডর ক্যাসেলে ইতিহাসের প্রথম ইফতার
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস ১৯৭৫ সালের পর বিকৃত করা হয়েছে
- কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল দেখতে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
- গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০
- ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
- মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
- শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি
- বদর যুদ্ধ গায়েবি সাহায্যের অনুপম দৃশ্য
- অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা
- ভুটানের রাজার সফরে তিন সমঝোতা ও এক চুক্তি নবায়ন
- আগে কার সঙ্গে প্রেম করতেন রাধিকা মার্চেন্ট?
- ধূমপান ছাড়তে যে খাবারগুলো আপনাকে সহায়তা করবে
- চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান
- স্কুল-কলেজের সভাপতিকে এইচএসসি পাস হতে হবে
- হোলির রং ক্ষতি করে চোখের
- শাকিবের ‘তুফান’-এ ভিলেন যিশু!
- বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট স্বাদের চা হচ্ছে বাংলাদেশে
- অসহায় প্রবাসীর প্রেমিকের গল্প ‘তুই আমারই’
- বিয়ে করছেন না কেন?
- মাকে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি
- ঢাকায় ৫ দিনব্যাপী সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ফিল্মফেয়ারে বাংলাদেশের পাঁচ তারকা
- ফরিদপুরে ৫ কেজির তরমুজ মিলছে ২০০ টাকায়
- অসাম্প্রদায়িক মানবিক ও স্মার্ট দেশ গড়ার প্রত্যয়
- বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া
- ইফতারের পর যেসব অভ্যাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে
- ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৯
- ভারত বয়কটের ডাকে বিএনপি নেতাদের কথায় কোনো মিল নেই
- পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়ে ভুটানের রাজা মুগ্ধ!
- অশুভ রাজনীতির কারণে বিএনপি-জামাত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে
- মানুষ আনন্দে থাকলে বিএনপির কষ্ট হয়: ওবায়দুল কাদের
- একজন পাক্কা বখাটে- লে. কর্নেল (অব:) মুস্তাফিজুর রহমান
- বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ: দুর্যোগে দুর্বিপাকে সর্বদা মানুষের পাশে
- আন্দোলন মোকাবিলায় কৌশলী আওয়ামী লীগ
- বিএনপির চলমান সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়: যুক্তরাষ্ট্র
- তারেকের শয্যাসঙ্গী হয়ে মনোনয়ন নিশ্চিত করলেন শামা ওবায়েদ
- আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়: কাদের
- ফরিদপুর-৪, অখ্যাত নায়িকা শায়লাকে মনোনয়ন দিল বিএনপি
- দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি
- নির্বাচন থেকে পিছপা হলেন ড. কামাল ও ডা. জাফরুল্লাহ
- শুধু খাম্বা বসিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে তারেক: জয়
- বিভক্তিতে জর্জরিত হলেও বিভেদ নিরসনে বিএনপির হাইকমান্ড উদাসীন
- ভারতীয় টাটার কাছে ৩’শ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন তারেক রহমান
- মুখে মধু, অন্তরে বিষ যার!