বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজবাড়ীতে ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষে টিপু সুলতানের সাফল্য

নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুর প্রতিদিন

প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ওষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক টিপু সুলতান। জেলায় তিনি প্রথম কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এই ধানের চাষ শুরু করেন। 

বালিয়াকান্দি বহরপুর ইউনিয়নের তেতুলিয়া মাঠে প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে এই ধানের চাষ করে প্রথমবারে তিনি ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

টিপু সুলতান একই উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ৮০ শতাংশ জমিতে ২০ মণ ধানের ফলন হয়েছে। এতে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এখন অন্যান্য কৃষকদের কাছে ব্ল্যাক রাইস পৌঁছে দিতে তিনি বীজ সংগ্রহ করেছেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ব্ল্যাক রাইস পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও বাজারে দাম বেশি। এই ধানের ভাত খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কালো ধানে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

উদ্যোক্তা টিপু সুলতান বলেন, ঢাকার একজন কৃষিবিদ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে এই ধানের বীজ সংগ্রহ করি। এরপর কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি ধান চাষ শুরু করি। ব্ল্যাক রাইসের চাল একটু মোটা। এই ধান দুর্যোগ সহনশীল বলে প্রমাণিত হয়। তিনি আরও বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা করেছে। তারা আমার এই ধানকে বীজ হিসেবে সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে। ধানের পাশাপাশি আমার একটি নার্সারি রয়েছে। কৃষি কাজে আমি রাজবাড়ীর একজন সফল কৃষক।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, টিপু সুলতান একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি নার্সারি করে সফল কৃষক। রাজবাড়ীতে তিনি প্রথম ব্ল্যাক রাইস ধানের চাষ করেন। এ বছর বালিয়াকান্দিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। কিন্তু ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি তার ধান নিয়ে। ধানের বাজার মূল্য ভালো হলে অনেক কৃষক এই ধান চাষে আগ্রহী হবে।

বালিয়াকান্দি উপজেলার আক্কাস শেখ, মনিরুদ্দিন শেখ, সোলেমান মন্ডলসহ একাধিক কৃষক জানান, যেহেতু ব্ল্যাক রাইসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তাই আমরা অল্প জমিতে এই ধানের চাষ করব। ইতোমধ্যে আমরা টিপু সুলনানের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করেছি। রাজবাড়ীতে এই ধান চাষে টিপু সুলতান সাফল্য পেয়েছেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ ধানের চেয়ে কালো ধানের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। কালো ধানে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে দেহের হার্ট সুস্থ থাকে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রথমবারের মতো কালো ধানের চাষে সাফল্য পেয়েছেন টিপু সুলতান। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা বিভিন্ন পরমর্শ ও সাহায্য করেছি।