শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ২০ রমজান ১৪৪৫

শীতে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, বেশি আক্রান্ত শিশুরা

নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুর প্রতিদিন

প্রকাশিত : ০৪:১০ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

মৌসুমী আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ফরিদপুরের মধুখালীতে বেড়েছে মৌসুমী রোগ ডায়রিয়ার। ১৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, ৩১ শষ্যার হাপাতালে ডায়রিয়া রোগীর তিল ধারনের ঠাঁই নাই। অল্প বেড সংখ্যা। বেডে সংকুলান না হওয়ায় ফ্লোরে অবস্থান নিতে হয়েছে রোগীসহ সজনদের।

মৌসুমী আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে উপজেলায় বেরেছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব। ডায়রিয়ায় ৫ বছরের নিচের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এমন কি পাশের জেলা মাগুরার মহাম্মদপুর, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দী ও পাশের উপজেলা বোয়ালমারী এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার রোগিরা মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার বেলা রানী দাস ও ওয়ার্ড ইনচার্জ রুনা রানী সরকার জানান, ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ১৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে বেশীর ভাগই ৫ বছরের নিচের শিশু। ১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করছেন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১২ জন ডায়য়িার রোগী ভর্তি হচ্ছে।

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দী উপজেলার বিল মাগুরা গ্রামের রাশিদা বেগম তার ১৩ মাস বয়সী আসিয়া কন্যাকে নিয়ে আসছেন ৩ দিন আগে। চিকিৎসায় কমেছে। বর্তমানে সে সুস্থ হয়েছে। মাগুরা জেলার মহাম্মাদপুর উপজেলার পাল্লা গ্রামের সত্তার শেখ ২১ মাস বয়সী নাতীকে নিয়ে আসছেন।

নাতী চিকিৎসায় ভাল হচ্ছে বলে তিনি জানান, উপজেলার কামারকালী ইউনিয়নের কামারখালী গ্রামের পলি আক্তার জানান তার দুটি বাচ্চা মহিমা বয়স ৪ বছর ও মেহেরিসার বয়স ৩ বছর ওরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বর্তমান তার সুস্থ।

এ বিষয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. কবির সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মৌসুমী রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া। আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে শীতে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। আমাদের হাসপাতালে ডায়রিয়ার মোকাবেলা করার মত পর্যাপ্ত ঔষধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। সুখের বিষয় হচ্ছে যে এ পর্যন্ত একটি শিশুরও মৃত্যু হয় নাই। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গিয়েছে।