শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ফরিদপুর প্রতিদিন

প্রকাশিত : ১২:৫২ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

বাংলাওয়াশ ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা হেরেছে ২১ রানে। তবে ম্যাচে যা হয়েছে, তার পুরো চিত্রটা তুলে ধরতে পারছে না এই হারের ব্যবধান। পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে যে কখনোই ম্যাচ জেতার মতো মেজাজে দেখা যায়নি!

আজকের এই ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে পায়নি বাংলাদেশ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান টস জিতে নিয়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।

দারুণ এক আউটসুইং দিয়ে শুরুর পর তাসকিন আহমেদ শুরুর ওভারে দেন ১ রান। দারুণ শুরুর আভাসও মিলছিল তাতে। তবে শুরুর সেই আভাসটা মিলিয়ে গেল পাওয়ারপ্লের পরের ওভারগুলোয়। পরের পাঁচ ওভার থেকে এল যথাক্রমে ১০, ৯, ৭, ৭, ৯ রান; পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার থেকে তাতে এল ৪৩ রান। 

পাওয়ারপ্লে শেষে বাবর আজম ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হয়ে। তবে রিজওয়ান ওপাশে ছিলেন তার মতোই। এরপর শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ইনিংস গড়ায় মনোযোগ দেন। তবে দলীয় ৯৩ রানে শানকে ফেরান নাসুম আহমেদ।

পরের গল্পটা কেবলই রিজওয়ানের। পাকিস্তান ইনিংসে এরপর বাংলাদেশ আঘাত হেনেছে নিয়মিত বিরতিতে, হায়দার আলী, ইফতিখার আহমেদ, আসিফ আলীদের অল্প রানেই ফেরানো গিয়েছিল; তবে দমানো গেল না রিজওয়ানকে। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে তিনি করেন ৫০ বলে ৭৮। তার এই ইনিংসে ভর করেই পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত তোলে ১৬৭ রান। তাতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ১৬৮ রানের।

ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা করে বেশ ধীরগতিতে। মিরাজ-সাব্বির রহমানের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ২৫ রান, সেটাও ২৬ বল খেলে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে সাব্বিরকেও খুইয়ে বসে বাংলাদেশ, ফেরার আগে ১৮ বল খেলে ১৩ রান করেন সাব্বির। 

পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি হয়ে থাকতে পারে তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেনের সঙ্গে মিলে লিটন দাসের ৫০ রানের জুটিটা। ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট খোয়ানোর পর তাদের ৪০ বলে ৫০ রানের জুটিটাই যা আশা দেখিয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিদের! তবে দলীয় ৮৭ রানে তার বিদায়ের পরই বাংলাদেশ পথ হারায়। মোসাদ্দেক হোসেন পরের বলেই বিদায় নেন। এরপর আফিফ হোসেনও ফেরেন দলকে তিন অঙ্কে নেওয়ার আগেই। অধিনায়ক নুরুল হাসানও ফেরেন একটু পরেই। ১০১ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। 

এরপর ১১৯ রানে যখন তাসকিন আহমেদ আর নাসুম আহমেদও ফিরলেন, তখন বিশাল হারের শঙ্কাতে পড়ে গিয়েছিল দল। তবে এরপর ইয়াসির আলির ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। তাতে অবশ্য হারের ব্যবধানটাই কমেছে কেবল। শেষমেশ বাংলাদেশ হেরেছে ২১ রানে।