শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

পশুর চামড়া সংগ্রহে প্রস্তুত ট্যানারি মালিকেরা

ফরিদপুর প্রতিদিন

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২১ জুলাই ২০২১ বুধবার

মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মধ্যে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পশু কোরবানি দিচ্ছেন। এদিকে গত কয়েক বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন ট্যানারি মালিকরা।

করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো এবারো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে হচ্ছে ঈদ। প্রতি বছরের মতই পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন অলিগলির সড়কে, গ্যারেজে ও ফাঁকা জায়গায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর লালবাগ, উত্তরা, খিলক্ষেত, ধানমন্ডি, আজিমপুর, দক্ষিণ বনশ্রী, খিলগাঁও, বাসাবো, গোরান, রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ, গুলশান, বনানী, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিভিন্ন স্থানে গরু ও ছাগল কোরবানি করতে দেখা গেছে। এছাড়া সারাদেশে নিজ বাড়িতে পশু কোরবানি করছেন মুসল্লিরা।

প্রতি বছরের মতই পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন অলিগলির সড়কে, গ্যারেজে ও ফাঁকা জায়গায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে।

এদিকে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ জানান, কুরবানির ঈদে চামড়া সংগ্রহে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন, লবণ মজুদ ও কর্মী-শ্রমিক প্রস্তুত রয়েছে। 

মাঠ পর্যায় থেকে ট্যানারিগুলো মূলত ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণ করবে। এজন্য এসব এলাকার মাদরাসাভিত্তিক যেসব উদ্যোক্তা চামড়া সংগ্রহ করবেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আর্থিক যোগান দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করার চেষ্টা থাকবে। এরই মধ্যে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসা চামড়া প্রক্রিয়াকরণে প্রয়োজনীয় লবণ এবং কর্মী-শ্রমিকদের প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকাভিত্তিক ট্যানারিগুলো পরে দেশের অন্যান্য আড়ত থেকে আসা লবণ দেওয়া চামড়া সংগ্রহ করবে।

চামড়া শিল্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত পুরান ঢাকার চামড়া ব্যবাসায়ী জাফর আহমেদ বলেন, আমরা প্রস্তুতি মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই শেষ করেছি। বুধবার আগে ট্যানারিতে যাব। এরপর ট্রাকে করে পুরান ঢাকার দুইটা মোবাইল সেন্টার থেকে আমরা চামড়া সংগ্রহ করব।

এবার আড়ত ও ট্যানারিগুলোর জন্য ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছর এই দর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দাম হবে ৩৩ টাকা থেকে ৩৭ টাকা, গতবছর যা ২৮ থেকে ৩২ টাকা ছিল।

এছাড়া দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বছর খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকায় বেঁধে দিয়েছিল সরকার।