শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

২১শের মধ্যেই জামালপুরে হাইটেক পার্ক, ৬৪ জেলায় ৫৫০টি ডিসেপ সেন্টার

নিউজ ডেস্ক:

ফরিদপুর প্রতিদিন

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ৭ জুন ২০২১ সোমবার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন তরুণদের প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের জন্য জামালপুরে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণ এবং জামালপুরের প্রতিটি উপজেলাসহ দেশের ৬৪ জেলায় ৪৯২টি ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) স্থাপন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী ৬ জুন জামালপুরের শারীরিক প্রতিবন্ধী আকলিমা আক্তারকে ল্যাপটপ প্রদানকালে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তিনি এ ল্যাপটপটি প্রদান করেন। জামালপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম ঢাকার আগারগাঁওস্থ আইসিটি বিভাগে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে আকলিমা আক্তারের পক্ষে এ ল্যাপটপটি গ্রহণ করেন। এসময় জামালপুর প্রান্ত থেকে অনলাইনে যুক্ত হন আকলিমা আক্তার, এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পলক বলেন, আইসিটি খাতে বিগত ১২ বছরে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণীর প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামীতে ৬৪ জেলায় বিশেষভাবে সক্ষমদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পর তাদের ল্যাপটপ প্রদান করা হবে। এছাড়াও ৪ হাজার ফ্রিল্যান্সারদেরকে ল্যাপটপ উপহার দেয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে সকল শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণ-তরুণীরা প্রযুক্তিনির্ভর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সে স্বপ্নপূরণের জন্য আইসিটি বিভাগ যেকোন প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকবে। শারীরিক প্রতিবন্ধীরা অনেকেই প্রতিভাবান উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তাদের প্রতিভার সঠিক বিকাশ ঘটাতে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা আনতে আমাদের সকলের কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আকলিমার সংগ্রামী জীবন নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরার জন্য ৭১ টেলিভিশন ও চাকুরি প্রদানের জন্য জামালপুর পৌরসভার মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।

এ উপলক্ষে সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেন জামালপুর পৌর মেয়র আকলিমা আক্তারকে চাকুরি দিয়ে যে সহযোগিতা করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের এ উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সকলেই এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী আকলিমার ল্যাপটপটি জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের হাতে তুলে দেন।

উল্লেখ্য, জামালপুর পৌরসভার কম্পুপুর গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেনের পাঁচ ছেলে মেয়ের মধ্যে আকলিমা দ্বিতীয়। জন্মের ছয় মাস পর টাইফয়েডে স্বাভাবিক হাটা চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন আকলিমা। কিন্তু প্রতিবন্ধকতার কাছে সে হার মানেনি। মায়ের কোলে চড়ে আর হামাগুড়ি দিয়ে ক্লাস করে অর্জন করেছেন মাস্টার্স ডিগ্রি। পড়ালেখা শেষে চাকুরীর জন্য যখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তখন আকলিমার সাহায্যে এগিয়ে আসেন জামালপুর পৌর মেয়র এবং পৌরসভার কর আদায় শাখায় কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেন।