বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে আইনজীবীর সহকারী নিজেই কারাগারে

ফরিদপুর প্রতিদিন

প্রকাশিত : ০৫:১১ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২১ রোববার

সাজানো ধর্ষণ মামলায় অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন বরগুনার এক আইনজীবী সহকারী। ঘটনা ফাঁস হওয়ায় গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে গেলেন ছগির (৩৮) নামের ঐ আইনজীবী সহকারী (মহরার)। এদিকে যে নারীকে দিয়ে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের গুদিঘাটা গ্রামের এক নারী (৪০) বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বরগুনা সদর হাসপাতালের জাহিদ নামের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই কেয়া ও ঐ নারীসহ পুলিশের একটি টিম অভিযুক্তের কর্মস্থলে গিয়ে তাকে চিহ্নিত করতে বললে ঐ নারী কথিত অভিযুক্ত জাহিদকে চিনতে পারেননি। এ ঘটনায় পুলিশের সন্দেহ হলে ঐ নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঐ নারী বলেন, মামলা সূত্রে ছগির নামের এক মহরারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ছগির নিজেই তাকে ধর্ষণ করে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বলে। এরপর বরগুনার সরকারি হাসপাতালের জাহিদ নামের এক কর্মচারীকে ফাঁসাতে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ করতে থানায় পাঠান ছগির। তিনি কখনো জাহিদকে দেখেননি বলেও স্বীকার করেন। পরে শুক্রবার ছগিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঐদিনই তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশি তদন্তে মিথ্যা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ঐ নারী সত্যতা স্বীকার করেছেন। নারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা প্রাথমিকভাবে ছগিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে শনিবার (২৭ মার্চ) বিকালে বরগুনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে জাহিদ বলেন, আমার স্ত্রীর বোনের (শ্যালিকা) সঙ্গে তার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্বামী জহিরুল ইসলাম বাবুর সম্প্রতি ডিভোর্স হয়ে গেলে তারা আমার শ্যালিকাসহ আমাদের বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। যা বারবার মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনাটিতেও তার হাত থাকতে পারে।