ফরিদপুরে পেঁয়াজের বীজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩

দেশের যে কোনো অঞ্চলের উৎপাদিত বীজের তুলনায় ফরিদপুরের পেঁয়াজ বীজ মানের দিক থেকে উৎকৃষ্টমানের। এ জেলার পেঁয়াজ বীজ দেশের ৭০ ভাগ চাহিদার জোগান দেয়। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও এর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে। কয়েকদিন পরে চাষিরা ঘরে তুলবেন এই কালো সোনা। চলছে শেষ সময়ের পরিচর্যা আর প্রস্তুতি। তবে এবার মাঠে মৌমাছির আনাগোনা নেই বলে হাত দিয়ে পেঁয়াজ বীজের কদম পরাগায়ন করতে হয়েছে চাষিদের। এতে শ্রমিকের বাড়তি খরচ হলেও বেশি ফলনের আশাবাদী তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেঁয়াজের বীজ চাষে মারাত্মক ঝুঁকি আছে। এর ভালো-মন্দ অনেকটাই নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। এ বছর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলেও কিছুটা সমস্যা হয়েছে মৌমাছি না আসায়। যে কারণে হাত দিয়ে পরাগায়ন করতে হচ্ছে। এতে শ্রমিকের মজুরি খরচ বাড়লেও দ্বিগুণ ফলনের সম্ভাবনা আছে।
কৃষি বিভাগ ও চাষিদের মতে, এটি ছোট্ট শিশুর মতো যত্ন করে লালন-পালন করতে হয়। মাঠ তৈরি থেকে শুরু করে পেঁয়াজ লাগানো, মাঠ পরিচর্যা, ফুল আসার পর কীটনাশক, সেচ দিতে হয় দফায় দফায়। পেঁয়াজের কদম থেকে বীজ ছাড়ানো এবং তা রোদে শুকিয়ে ধুয়ে ফের রোদে শুকানোর পর অতিযত্নে বস্তায় রাখা হয়। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে বীজ নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া ঘন কুয়াশা, অতিখরা, ঝড়-বৃষ্টি হলে পেঁয়াজ বীজ নষ্ট হয়। পেঁয়াজ বীজ আবাদে খরচও হয় প্রচুর। বেশি ঝুঁকি নিয়ে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেন চাষিরা। গত বছর একর প্রতি জমিতে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার মতো। প্রতি একরে গড়ে তিনশ কেজি বীজ পাওয়া গেছে। গত বছর মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি হয়েছিল ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে। এ বছর বীজের দাম কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন চাষিরা।
একাধিক কৃষক ফরিদপুর প্রতিদিনকে জানান, বিভিন্ন ফসলি জমিতে পোকা দমনের ক্ষেত্রে নির্বিচারে ব্যবহার করা হয় কীটনাশক। ফলে উপকারী পোকা এবং মৌমাছি মারা যাচ্ছে। তাদের আগমন নেই। এজন্য প্রকৃতিনির্ভর পরাগায়ন ছেড়ে চাষিরা এখন কৃত্রিম পরাগায়ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। হাত দিয়ে পরাগায়ন করা হচ্ছে। হাত দিয়ে পুরুষ ফুলের পরাগরেণু স্ত্রী ফুলের গর্ভমুখে স্থাপন করা হয়। এভাবে পরাগায়ন করলে সময় বেশি লাগে। তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শে সাদা সুতি কাপড় (মার্কিন কাপড়) দিয়ে পরাগায়ন করছেন। কাপড়টি ক্ষেতের সব ফুলের ওপর দিয়ে আলতোভাবে টেনে নিতে হয়। এতেই ফুলের পরস্পরের স্পর্শে পরাগায়ন হয়ে যায়।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এ বছর ১ হাজার ৮৬৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯৩৩ মেট্রিক টন বীজের। এবার যে ফলন দেখা যাচ্ছে, তা ভালোভাবে ঘরে তুলতে পারলে এবং বাজারদর ভালো পেলে তারা বেশ লাভবান হবেন। গত বছর বীজ বিক্রি করে কৃষকরা অনেকেই লাভবান হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৩ হেক্টর বেশি জমিতে এর আবাদ করেছেন।
কৃত্রিম পরাগায়ন করা কৃষিশ্রমিক রুস্তম আলী, আকবর শেখ ফরিদপুর প্রতিদিনকে জানান, পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে পরাগায়ন ঘটানোর জন্য অনেক মৌমাছির প্রয়োজন হয়। এবার তেমন মৌমাছি নেই। যার কারণে ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজ ক্ষেতে পরাগায়নের কাজ করছেন তারা।
নগরকান্দার কৃষক জলিল শেখ ফরিদপুর প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে এসব উপকারী পোকামাকড় মারা যাচ্ছে। ফলে ফসলের পরাগায়নব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শুধু পেঁয়াজের বীজ ফুলের ক্ষেত্রেই নয়, এ সমস্যা অন্য ফসলের ক্ষেত্রেও ঘটছে।
দেশসেরা পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম বলেন, গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। তারপরও পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছি। এ বছরও বেশি জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। এখন পরাগায়নের কাজ চলছে। এতে বাড়তি খরচ হলেও দ্বিগুণ ফলন হবে।
পেঁয়াজ বীজের আরেক বড় চাষি বক্তার খান ফরিদপুর প্রতিদিনকে বলেন, ফলন ভালোর জন্য মৌমাছি তেমন ভূমিকা রাখে না। তবে ঝড়ো বাতাস, কুয়াশা, অতিখরা ও বৃষ্টিতে পেঁয়াজ বীজের ফলনের ক্ষতি হয়। পরাগায়নের জন্য শুধু মৌমাছির ওপর নির্ভরশীল হলেই হবে না। শ্রমিকের বাড়তি খরচ হলেও হাত দিয়ে পরাগায়ন করা হয়েছে। এতে ফলন হবে দ্বিগুণ।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, এ বছর ক্ষেতে মৌমাছি না আসায় হাত দিয়ে পরাগায়ন করতে হয়েছে। এতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন বেশি হবে। জমিতে পোকা দমনের ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে উপকারী পোকা এবং মৌমাছি মারা যাচ্ছে। যার কোনো সঠিক ব্যাখা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ফলন ভালোর জন্য মৌমাছির ভূমিকাই যে প্রধান, তা নয়। ঝড়-বাতাস, কুয়াশা ও বৃষ্টিতে ফলনের ক্ষতি হয়।

- চার জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ, ২ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
- বান্দরবানে নিহত সেনা সদস্যের দাফন সম্পন্ন
- রাজবাড়ীতে গড়ে উঠছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান
- কেঁচো সারে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গ্রামের অর্ধশতাধিক নারী
- রাজবাড়ীর ‘সিংহরাজ’ খায় ডাব-শরবত’, ওজন ৩০ মণ
- মেডিকেলে চান্স পাওয়া মুবিনের পাশে দাঁড়ালেন ডিসি
- তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাস
- ‘বিএনপি ভিক্ষার টাকায় বাজেট দিত, আ.লীগ দেয় জনগণের টাকায়’
- গ্রেফতারের পর সমর্থকদের উদ্দেশে যে বার্তা পিটিআই প্রেসিডেন্টের
- ভ্লাদিমির পুতিনের `গোপন মা` না ফেরার দেশে
- ন্যাটোয় ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে বিভক্তি
- ২৪৬ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি কিনলেন উর্বশী
- সৌদির স্থপতিকে হৃদয়ের রানী করে নিলেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স
- পিএসজির জার্সিতে মেসির শেষ ম্যাচ আজ
- রাশিয়া থেকে আসবে ১ লাখ ৮০ হাজার টন সার
- এভারেস্টের চেয়েও বড় গর্ত খুঁড়ছে চীন
- ইউক্রেন যুদ্ধে দুই লাখ সেনা হারিয়েছে রাশিয়া, দাবি কিয়েভের
- আরো ৪৪ হাজার ১৫৬ হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন
- স্বস্তি নেই, গরম নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
- সিনিয়র সচিব হলেন দুই কর্মকর্তা
- লবণ না চিনি! উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ি কোনটি?
- সারার গোপন তথ্য ফাঁস করলেন ভিকি
- ‘জাদুর কাঠি আছে আমার কাছে’
- বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সলোনা কোথায়?
- ‘স্যাংশন মোকাবিলা করার যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে’
- সম্পদ ও সম্মান বৃদ্ধির ৫ আমল
- চীনের সঙ্গে সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন
- বিশ্বে করোনায় আরো ১১৬ জনের মৃত্যু
- আবারও হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন বাইডেন
- তুরস্ক গেলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
- জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে খুলনা বিভাগে শীর্ষে মাগুরা
- এরদোগানকে ফোন করে যা বললেন রাইসি
- চরভদ্রাসনে দুই দিনব্যাপী কৃষকদের প্রশিক্ষণ
- শালিখায় গঙ্গা স্নান উৎসবে পূন্যার্থীর ঢল
- সিদ্ধের সময় ফেটে যাচ্ছে? সমাধানের রইল টিপস
- এশিয়া কাপ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল বাংলাদেশ
- ড. ইউনূসের করফাঁকি প্রমাণিত: হাইকোর্ট
- ভাঙ্গায় মহাসড়কের পাশের শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ
- সরকারের ঋণ কমেছে ২৩ হাজার কোটি টাকা
- রাজবাড়ীর ৪০ মণের সিংহরাজ, দাম হাঁকছে ২৫ লাখ
- ‘নকল’ মঙ্গলগ্রহ বানিয়েছে নাসা, ১ বছর থাকতে হবে বিজ্ঞানীদের
- কেঁচো সার উৎপাদন করে গ্রামের নাম বদলে দিয়েছেন ৫০ নারী
- আজ থেকে মেট্রোরেল চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত
- আরও ৪৬ দেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তির উদ্যোগ
- আইসিটি ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুইডেনের বড় বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে দুদকের মামলা
- জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হল দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- ‘রাজ গত ১০ দিন সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছেন’
- যে কারণে ভিকির সিনেমায় নেওয়া হয়নি ক্যাটরিনাকে
- পিপিপি’র পাইপলাইনে নতুন ১৩ মেগা প্রকল্প

- ‘পতিতা ও পতিতাপল্লী’ বাদ দিয়ে এনআইডি পেলেন ফরিদপুরের যৌনকর্মীরা
- ফরিদপুর-৪ আওয়ামী লীগে ফিরে এলন নিক্সন চৌধুরীর ২০ নেতা কর্মী
- ফরিদপুরে কোভিড-১৯ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ
- ভাঙা-ঢাকা রেলের কাজের সঙ্গে এগিয়ে চলছে দক্ষিণের মানুষের স্বপ্ন
- সালথায় হারিয়ে যাচ্ছে মৌচাক
- চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন
- সাজেদা চৌধুরীর সম্মানে মনোনয়ন তুলে নিলেন আমীর ফয়সল
- ফরিদপুরে ‘আরোগ্য সদন’ হাসপাতাল লকডাউন
- ফরিদপুর ডিসি অফিসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০
- নিক্সন বাহিনীর সহিংসতা শুরু, আ`লীগের নির্বাচনী কার্যালয় হামলা
- কাট ফ্লাওয়ার জারবেরা এখন ফরিদপুরে
- ফরিদপুরে আশার আলো দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
- নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত ফরিদপুরের কারিগরেরা
- কাট ফ্লাওয়ার জারবেরা এখন ফরিদপুরে
- দেশের প্রথম ছয় লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত