ফরিদপুরের বোকাইল গ্রাম এখন পলোডাঙ্গা
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২২

ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের একটি গ্রাম বোকাইল। দেড় শতাধিক পরিবারের বসবাস গ্রামটিতে। গ্রামের সবাই পলো (বাঁশ দিয়ে তৈরি মাছ ধরার উপকরণ) তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দীর্ঘ প্রায় চার যুগেরও বেশি সময় ধরে গ্রামটিতে চলছে এ পলো তৈরির কাজ। এ কারণে গ্রামের আদি নাম ‘বোকাইল’বদলে পরিচিতি পেয়েছে ‘পলোডাঙ্গা’হিসেবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামের প্রতিটি পরিবারের শিশু-কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে নারী-পুরুষসহ সবাই পলো তৈরির কাজ করেন। পলোডাঙ্গা গ্রামের পলোর খ্যাতি জেলার গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাইকারি দরে পলো কিনে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। তবে শুধু মাছ ধরার কাজেই নয়, হাঁস-মুরগি পালনেও ব্যবহৃদত হয় পলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, বোকাইল গ্রামের এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে পলো তৈরি করা হয় না। প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় দেখা মেলে পলো ও পলো তৈরির জিনিসপত্র। বাঁশের শলা দিয়ে পলো তৈরির কাজ চলছে। কেউ বাঁশ কাটছেন, কেউ শলা তৈরি করছেন। আবার কেউ প্লাস্টিকের রশি দিয়ে তৈরি করছেন পলো।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি পরিবারের তিন থেকে চারজন সদস্য গড়ে প্রতিদিন ৮-১০টি পলো তৈরি করেন। তবে পুরুষদের তুলনায় বাড়ির নারী সদস্যরাই সারাদিন পলো তৈরির কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন। আশপাশের হাট-বাজারে বিক্রি করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাইকারি দামে পলো কিনে নিয়ে যান।
বাজারে প্রকারভেদে প্রতিটি পলো ২০০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর পাইকারি দরে ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। বড় আকারের একটি বাঁশ কিনতে খরচ পড়ে ৩০০-৪০০ টাকা। প্রতিটি বাঁশ দিয়ে তিন থেকে চারটি পলো তৈরি করা যায়।
বোকাইল গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মোল্লা (৬৭) বক্কার মন্ডল ও ইদ্রিস শেখ ফরিদপুর প্রতিদিনকে বলেন, আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে পলো তৈরির কাজে জড়িত। গ্রামের আদি নাম বোকাইল হলেও এখন সবার কাছে মৌখিকভাবে ‘পলোডাঙ্গা’ গ্রাম হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। গ্রামের প্রতিটি পরিবারই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। পলো তৈরি করেই আমাদের সংসার চলে।
গৃহবধূ নারগিস বেগম বলেন, সারাদিন গৃহস্থালির কাজের পাশাপাশি পলো তৈরি করি। এই পলো বিক্রির টাকা দিয়েই চলে আমাদের সংসার।
গ্রামের বাসিন্দা জসিম মাতুব্বর ফরিদপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি গ্রাম থেকে পাইকারি দরে কিনে বিভিন্ন স্থানে পলো বিক্রি করি। বিভিন্ন স্থান থেকে মহাজনরা এসেও গাড়ি ভরে কিনে নিয়ে যান। গাড়ি ও শ্রমিক খরচ বাদে প্রতিটি পলোতে গড়ে ৬০-৭০ টাকার মতো লাভ হয়।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা হাসেম মোল্লা (৬২) ফরিদপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি সেই পাকিস্তান আমল থেকে পলো তৈরি করি। বাপ-দাদার পেশা তাই ধরে রেখেছি। কোনোমতে খেয়ে-পরে চলছে।’
স্থানীয় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ঝিলু বলেন, গ্রামটির প্রতিটি পরিবার পলো তৈরির সঙ্গে জড়িত। এটাই তাদের জীবিকার মাধ্যম।
গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন ফরিদপুর প্রতিদিনকে বলেন, গ্রামটি পলো তৈরির জন্য বিখ্যাত। গ্রামের ৯৫ শতাংশ মানুষ পলো তৈরির কাজে জড়িত। এটা তাদের প্রধান পেশা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ফরিদপুরের উপমহাব্যবস্থাপক হ র ম রফিকউল্লাহ ফরিদপুর প্রতিদিনকে বলেন, ফরিদপুরের বোকাইল গ্রামের পলো গুণে-মানে বেশ ভালো। এখানকার পলোর খ্যাতি ও চাহিদা রয়েছে। বিসিক সবসময় এসব ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। এ কাজে জড়িতদের ভালোমানের পলো তৈরিতে আগ্রহী করার পাশাপাশি কারিগরদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

- রাজবাড়ীতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর ছেলের ‘আত্মহত্যা’
- রাজবাড়ীতে শীতকালীন পিঠা উৎসব
- নগরকান্দায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র জব্দ
- রাজবাড়ীতে দুদিন ব্যাপী বাংলা উৎসব
- ফরিদপুরে ভুয়া পরীক্ষকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- ‘পশ্চিমা গণমাধ্যম কেন আমাদের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে খেলছে’
- জানুয়ারিতে ৩২ ফিলিস্তিনির প্রাণ নিল ইসরাইল
- ইসরাইলিদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর
- বিপিএলে যে মাইলফলক ছুঁলেন মাশরাফি
- গোয়ালন্দে শেখ কামাল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
- ভাঙ্গায় মেধাবীদের বৃত্তি প্রদান
- স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
- ‘সংবিধান বহির্ভূত সরকার যেন ক্ষমতায় না আসে সেই চেষ্টা করেছি’
- পর্ব-১ : কোরআন পরিচিতি ও নাজিলের ইতিহাস
- নারকেল বাটা দিয়ে হাঁসের মাংস ভুনা
- ৪ দিনে ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলো ‘পাঠান’
- আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে বিপাকে পাকিস্তান
- দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট
- প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসছে
- উৎপাদনে ফিরছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- আফগানিস্তানে প্রচণ্ড ঠান্ডায় ১৬৬ জনের প্রাণহানি
- বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য পিঠা উৎসব
- শীত কি আবারও আসছে? যা বলছে আবহাওয়া অফিস
- সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌবাহিনীর চিকিৎসাসেবা ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান
- ঢাকার বাতাসে বিষ যেন কমছেই না
- কানের সমস্যা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- ‘মেয়েদের জড়িয়ে আমাকে নিয়ে অনেকেই গুঞ্জন ছড়ায়’
- ১৪ বছরে বদলে গেছে রাজশাহী
- সকালে চা নাকি এক কাপ চিরতা?
- বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পোশাক নেওয়ার প্রতিশ্রুতি
- বিদেশী মাল্টা চাষে সফল রাজবাড়ীর আলাউদ্দিন
- পড়শীকে ভালোবাসেন নিলয়, তবে...
- ফরিদপুরে বেড়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ
- মরুর বুকে বিলাসবহুল রিসোর্ট
- মাগুরায় রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ বাড়ছে
- মাগুরায় প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ
- শীতের সন্ধ্যায় বানিয়ে ফেলুন সবজি ভাপা পিঠা
- স্বপ্নপূরণে জীবনযুদ্ধে নেমেছেন পাখি, প্রয়োজন একটি কম্পিউটার
- মাগুরায় বিতর্ক উৎসব: সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
- মাগুরায় যুবলীগের আওয়ামী মিত্র অ্যাপস উদ্বোধন
- সাড়ে ১০ কেজির আইড় ২২ হাজারে বিক্রি
- ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা চালু ১৪ এপ্রিল থেকে: ভূমিমন্ত্রী
- পবিত্র শবে মেরাজ কবে জানা যাবে কাল
- ৩০ হাজারে সন্তান বিক্রি, ৯৯৯-এ ফোনে উদ্ধার
- রাজবাড়ীতে দুই দিনব্যাপী ‘বাংলা উৎসব’ শুরু
- ফরিদপুরে সুবিধাবঞ্চিতের মাঝে কম্বল বিতরণ
- ক্যান্সারের এই সাধারণ লক্ষণ অনেকেই চিনতে পারেন না, সতর্ক হন এখনই
- অপার বিস্ময়ের মডেল মসজিদ
- ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের মহাসড়কে
- সহজে পুরুষের ভালোবাসা পেতে চাইলে...

- ‘পতিতা ও পতিতাপল্লী’ বাদ দিয়ে এনআইডি পেলেন ফরিদপুরের যৌনকর্মীরা
- ফরিদপুর-৪ আওয়ামী লীগে ফিরে এলন নিক্সন চৌধুরীর ২০ নেতা কর্মী
- ফরিদপুরে কোভিড-১৯ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ
- ভাঙা-ঢাকা রেলের কাজের সঙ্গে এগিয়ে চলছে দক্ষিণের মানুষের স্বপ্ন
- চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন
- সালথায় হারিয়ে যাচ্ছে মৌচাক
- সাজেদা চৌধুরীর সম্মানে মনোনয়ন তুলে নিলেন আমীর ফয়সল
- ফরিদপুরে ‘আরোগ্য সদন’ হাসপাতাল লকডাউন
- ফরিদপুর ডিসি অফিসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০
- নিক্সন বাহিনীর সহিংসতা শুরু, আ`লীগের নির্বাচনী কার্যালয় হামলা
- কাট ফ্লাওয়ার জারবেরা এখন ফরিদপুরে
- ফরিদপুরে আশার আলো দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
- নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত ফরিদপুরের কারিগরেরা
- দেশের প্রথম ছয় লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত
- কাট ফ্লাওয়ার জারবেরা এখন ফরিদপুরে