স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমাদের অর্জন
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২১

স্বাধীন হবার পর পর অনেক তীব্র সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সে তার যাত্রা শুরু করেছিল, বলতে গেলে, শূন্য থেকে। তখন তাকে যৎকিঞ্চিৎ সাহায্য দিয়েছিল বহু দেশ। কিন্তু তার অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের নাম দিয়েছিলেন ‘তলা-বিহীন ঝুড়ি।’ তার ধারণা ছিল যে, যতোই সাহায্য করা হোক না কেন, বাংলাদেশ কখনও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু আজ বাংলাদেশকে দেখে সমগ্র বিশ্বই বিস্মিত হচ্ছে। উন্নয়নের এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। সে ক্রমে উপরে উঠছে, আরও উপরে উঠছে। অজস্র তার অর্জন। আমরা কেবল কয়েকটা বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দেবো।
ধরা যাক, কৃষির কথা। যে-বাংলাদেশ কয়েক বছর আগেও বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতো, সেই বাংলাদেশই এখন তার সতেরো কোটি লোকের জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন করছে। কেবল তাই নয়, সে তার উদ্বৃত্ত খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করছে। অথচ কৃষি উৎপাদনের জন্যে তার জমির পরিমাণ অত্যন্ত কম, মাথাপিছু মাত্র এক একরের চার ভাগের এক ভাগ। তাও প্রতি বছর কমে যাচ্ছে, শিল্প ইত্যাদি উন্নয়ন কাজে। শাক-সবজি, ফল-মূল এবং মাছ-মাংস ইত্যাদি সবকিছুর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সত্যিকার সবুজ বিপ্লব যাকে বলে।
কেবল কৃষিতে নয়, বাংলাদেশ শিল্পের ক্ষেত্রেও অনেক এগিয়ে গেছে। স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশে শিল্প বলতে ছিল কয়েকটি পাটের কল, একটি কাগজের কল আর কয়টি চিনির কারখানা। এখন ইস্পাত কারখানা-সহ নানা ধরনের শিল্পের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ওষুধের কারখানা, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক শিল্পেরও বিকাশ ঘটেছে। এমনি, বিকাশ ঘটছে সর্বত্র, সবকিছুতে।
একটা দেশের উন্নতি হয়েছে কিনা, অথবা উন্নতি হয়ে থাকলে কতোটা হয়েছে, তার পরিমাপ করা হয় সাধারণত অর্থনীতির মাপকাঠি দিয়ে। যেমন, দেশের প্রতিটি লোক বছরে গড়পড়তা কতো আয় করে। একে বলা হয় মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো, তারপর প্রথম দিকে সেই মাথাপিছু আয় ছিলো ১৯৭২ সালে ৯৪ ডলার, আর ৭৪ সালে ১৮২ ডলার। বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব দশটা দেশের মধ্যে একটা। এখন সেই বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে– ২০১৯ সালে ১৮৫৬ ডলারে। বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হচ্ছে। তাছাড়া, করোনা-কালীন সংকট সত্ত্বেও এ বছরে শতকরা ৬ ভাগ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নয়তো প্রবৃদ্ধির হার ছিলো শতকরা ৮ ভাগ অথবা তার চেয়েও বেশি। দেশের বিপুল জনসংখ্যা জনসম্পদে পরিণত হয়ছে। এখন দেশের প্রায় এক কোটি লোক বিদেশে গিয়ে সব ধরনের কাজ করছেন। তারা বিদেশ থেকে যে অর্থ পাঠাচ্ছেন, তার পরিমাণ প্রায় পোশাক শিল্প থেকে আয়ের মতো। শিশুমৃত্যুর সংখ্যা খুবই কমে গেছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নতির ফলে মানুষের আয়ু প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওদিকে, জন্মের হার অনেক কমে গেছে। পরিবারের আয়তন এখন তাই আগেকার তুলনায় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে অবিশ্বাস্যরূপে। ১৯৪০-এর দশকে গড়ে মাত্র পাঁচ হাজার মুসলমান প্রার্থী ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিতো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তখন ছিল সমগ্র বঙ্গদেশ ও আসাম। এখন কেবল বাংলাদেশ থেকেই পাঁচ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার হার বিস্ময়কর মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ হার এখন শতকরা ৭১। এবং মেয়েরা কেবল প্রাথমিক/মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে খুশি নয়। হাজার হাজার নারী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে পঁচাশি হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী। তাদের শতকরা প্রায় ৪০জন ছাত্রী, ৬০জন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
তাছাড়া, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নারীদের উন্নতির কথা বিচার করলে দেখা যায় যে, তাদের অবিশ্বাস্য অগ্রগতি হয়েছে। পঞ্চাশ বছর আগে যে-নারীরা সাধারণত চার দেয়ালের মধ্যেই বন্দী থাকতেন এবং ঘরের কাজ আর সন্তান লালন ছাড়া আর-কিছু করতেন না, সেই নারীরা এখন এমন কোনো কাজ নেই, যা করছেন না। কৃষির কাজ থেকে আরম্ভ করে বিমান চালানো পর্যন্ত সকল কাজেই নারীরা অংশগ্রহণ করছেন।
একটা সময়ে নারীদের পক্ষে শিক্ষকতা, ডাক্তারি, নার্সিং ইত্যাদি কয়েকটা কাজ ছাড়া, অন্য কোনো কাজ করা সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। অপর পক্ষে, এখন এমন কোনো পেশা নেই, যাতে নারীরা যোগ দিচ্ছেন না। যেসব কাজে শারীরিক শক্তি লাগে, সেসব কাজ নারীরা আগে করতেন না। কিন্তু এখন অনেকেই করছেন। যেমন, সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন, পুলিশবাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ চিত্র দেখতে পাই পোশাক শিল্পে। ৪০ লাখ পোশাক শিল্পের কর্মীদের মধ্যে প্রায় ৩২ লাখই নারী। তার থেকেও বেশি নারী ল্প্তি আছেন কৃষি এবং অন্যান্য অর্থকরী কাজে। নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।
শিক্ষা এবং কর্মজীবনে এই ব্যাপক উন্নতির ফলে নারীরা এখন আগের তুলনায় পরিবার এবং সমাজে অনেকটাই ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আরম্ভ করে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে নির্বাচনের মাধ্যমে তারা দেশ পরিচালনায় অংশ নিচ্ছেন। এমন কি, দেশের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন একাধিক নারী। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন যে, তিনি কেবল প্রতীকী প্রধানমন্ত্রী নন, বরং তিনি দেশকে পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখেন। তিনি আরও প্রমাণ করেছেন যে, তিনি একজন অভিজ্ঞ এবং বিচক্ষণ রাষ্ট্রনীতিবিদ। তার পরিচালনায় বাংলাদেশ উন্নতির রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি অধীনতামূলক এবং অসম্মানজনক শর্ত মেনে নিয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ করাননি। বরং নিজেদের অর্থে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। ঢাকার মেট্রোরেল-সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপুল উন্নতি, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ব্যাপক বিদ্যুতায়ন সবই বাংলাদেশের দৃষ্টান্তমূলক উন্নতির প্রতীক।
সরকারী কর্মকাণ্ডের সকল স্তরেও নারীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। নারীদের এই ক্ষমতায়নের ফলে পরিবার, সমাজ এবং কর্মক্ষেত্রে তারা আর নীরব থাকছেন না, বরং তারা সরব হয়ে উঠেছেন। আগে পরিবারে এবং সমাজে সিদ্ধান্ত নিতেন পুরুষরা। এমন কি, সন্তান নেওয়া হবে কিনা, তাও ঠিক করতেন স্বামীরা। কিন্তু এখন কেবল পারিবারিক সিদ্ধান্তই নয়, সব রকমের সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও নারীরাও অংশ নিচ্ছেন।
মোট কথা, বিশাল জনসংখ্যার চাপ, প্রতিকূল প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রাজনৈতিক হানাহানি ইত্যাদি সত্ত্বেও বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে উন্নতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
গোলাম মুরশিদ

- মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি
- মসজিদে নামাজ ও তারাবি নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশনা
- মঙ্গল শোভাযাত্রা না করার নির্দেশ
- শেষ হলো অমর একুশে বইমেলা
- শিগগিরই কোভ্যাক্স থেকে ৬.৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ
- জুনে মাঠে গড়াবে পিএসএল
- কঠোর লকডাউন: সরকারের ১৩ দফার বিধিনিষেধে যা আছে
- `বিশ্বশান্তি সুসংহত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ`
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার
- বিয়ের খবর জানালেন অভিনেত্রী নাজিরা মৌ
- শ্রীলঙ্কার পথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
- এক সপ্তাহে দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া
- লকডাউনে বদলে গেল আবাহনী-ইগলস ম্যাচের ভেন্যু
- সর্বাত্মক লকডাউনে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ
- রোজা শুরু কবে জানা যাবে ১৩ এপ্রিল
- মালয়েশিয়ার বাজারে রমজানে কঠোর নজরদারি
- ১৩ তৃণমূলকর্মী নিহতের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
- সাকিবদের প্রশংসায় শাহরুখ খান
- সর্বাত্মক লকডাউন চলাচলে দেখাতে হবে ‘মুভমেন্ট পাস’
- ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা
- টাকা আত্মসাৎতের প্রতিবাদে ফরিদপুরে যৌন কর্মীদের মানববন্ধন
- ফের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অ্যাথলেটিকো
- খালেদার করোনা আক্রান্তে সম্পত্তির ভাগ বুঝে নিতে মরিয়া শর্মিলা
- কঠোর লকডাউন: যা করা যাবে, যা যাবে না
- মামুনুলে জিম্মি হেফাজত: সমর্থন ও বিদেশি অর্থ সরবরাহ বন্ধের হুমকি
- করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ৮৩ জনের মৃত্যু
- ৩টি ফোনালাপের সূত্র ধরে মামুনুলের তৃতীয় প্রেমিকা সনাক্ত
- হেফাজতের হরতালে সহিংসতা: ফেসবুকে ছবি দেখে গ্রেফতার শিবির কর্মী
- খালেদার জন্য আইসিইউসহ কেবিন বুকিং
- মোদিবিরোধী আন্দোলনেও তৃতীয় প্রেমিকার বাসায় সময় কাটান মামুনুল
- সালথায় বিশৃঙ্খলা,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ
- ভুয়া কাবিননামা তৈরির চেষ্টা করছে মামুনুল হক: কাজী অফিসে নজরদারি
- পরশ মনিকে ফলো করেন মামুনুল হক!
- মামুনুল হকের নারী কেলেংকারী ও হেফাজতের রাজনীতি
- স্বামীর জন্য কাঁদে না মন: নুরা পাগলা
- করোনা পরীক্ষার ফি দেয়া যাবে শুধুমাত্র ‘নগদ’-এ
- পর্ন ভিডিওতে ঠাসা ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের ফোন, বিয়েতেও ধোঁয়াশা!
- মামুনুল হক ‘জঘন্য ব্যক্তি’: ডা. জাফরুল্লাহ
- বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে যা বললেন দিয়া
- যেভাবে অ্যালকোহল ছাড়া তৈরি করবেন পিনা কোলাডা
- রাজবাড়ীতে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান শুরু
- সেরা অনলাইন পারফরমার হলেন রাজবাড়ীর রেহেনা
- ফরিদপুরে করোনা দ্বিতীয় ডোজ শুরু
- বিধিনিষেধ মেনে চলুন : প্রধানমন্ত্রী
- মাস্ক বিতরণে ৪৯২ উপজেলা পেল ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা
- ফরিদপুরে করোনা রোগী বহনে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
- এভাবে রিসোর্টে যাওয়া সমীচীন হয়নি: লাইভে মামুনুল হকের স্বীকারোক্তি
- বলাৎকারের পর ছাত্রকে কোরআন ছুঁইয়ে শপথ করান হেফাজত নেতা
- করোনায় কর্মহীনদের সহায়তার জন্য ৫৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ
- দৌলতদিয়ায় পদ্মায় ধরা পড়লো ২৪ কেজির কাতল

- চোখটা এতো পোড়ায় কেন?
- আমাদের বাড়ি এবং মাধবীলতার স্মৃতি….. -অনন্যা হক
- বাংলাদেশে বাড়ছে নারী ক্ষমতায়ন
- আমার আব্বা আব্দুজ জহুর এমপি
- পহেলা জানুয়ারি, পহেলা বৈশাখ
- ধন্যবাদ শিক্ষামন্ত্রী
- একজন সাদাসিধা মানুষের কথা
- ‘নয় রকমের গল্প’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব
- আ’লীগ ও বিএনপির মিল-অমিল
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস নিয়ে কিছু কথা
- নয়াপল্টনের হামলা কোন পক্ষের?
- ধর্ষিত হয়েও নারীর রেহাই নেই!
- একদিন ‘প্লাস্টিক ম্যান’ হব রে!
- বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নির্মমতার মানদণ্ডে নিকৃষ্ট
- গবেষণার জন্য একটা ভালো মন থাকলেই চলে