শনিবার   ০৩ জুন ২০২৩   জ্যৈষ্ঠ ২০ ১৪৩০   ১৪ জ্বিলকদ ১৪৪৪

 ফরিদপুর প্রতিদিন
সর্বশেষ:
কেঁচো সারে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গ্রামের অর্ধশতাধিক নারী চার জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ, ২ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের ৪৪ হাজার ১৫৬ হজযাত্রী করমুক্ত আয়সীমা পুরুষের সাড়ে ৩ লাখ নারীর ৪ লাখ টাকা রাজবাড়ীতে গড়ে উঠছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান
২৫

ফরিদপুর শহরের মহল্লার নাম ‌পাকিস্তান পাড়া

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

ফরিদপুর শহরের আলীপুরের গুরুত্বপূর্ণ একটি মহলার নাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ডে পাকিস্তান পাড়া লেখায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন মহল।

সংক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পর এখনো কেনো স্বাধীন এই দেশের মানচিত্রের মধ্যে পাকিস্তান পাড়া নাম শব্দটি ব্যবহার করা হবে। বিষয়টি স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ পাশাপাশি প্রশাসনের দেখা উচিত, যারাই এই দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।

পৌর শহরের ১০ নং ওয়াডের মুজিব সড়কের পশ্চিম পাশে কুমার নদের পাড়ে ( জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর সামনের এলাকাটি) পৌর কর্তৃপক্ষ শাপলা সড়ক নামকরণ করলেও এখনো বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে দেখা যায় এলাকার নাম লেখা হয়েছে পাকিস্তান পাড়ার নামে। ( জননী এক্সপ্রেস, ইউএসবি কুরিয়ার সাভিস, এসআর পাসেল সাভিসেস, একটি মুদি দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান)।

জানা যায়, স্বাধীনতার পরে ওই এলাকার মানুষ পাকিস্তান পাড়া হিসেবে পরিচিত ছিল বিভিন্ন সময় নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেন সেটি পরিবর্তন করে শাপলা সড়ক নামকরণ করা হয়।

এই ওয়াডের কাউন্সিলর সামছুল আরিফিন সাগর জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে নৌটিশ, মাইকিং করেছি এলাকাটির নাম পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে। তার পরেও এখনো যদি কেউ পূর্বের নাম ব্যবহার করে তবে অবশ্যই সেটি অন্যায় হবে।

এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছি পাকিস্তান নাম ব্যবহার করার জন্য নয়, যারা বা যিনি এলাকাটির নাম এখনও পাকিস্তান পাড়া বলতে চেষ্টা করে, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা পরিষ্কার যে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু দুষ্টচক্র একাজ করার চেষ্টা করে।

একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল ফয়েজ। তিনি বলেন এই দৃষ্টতা যিনি দেখিয়েছেন তাকে কোনভাবেই ক্ষমা করা যাবে না। একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে এ থেকে বড় অপমান আর কি হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার ঘোষনা দিয়ে জেলা প্রশাসক মো: কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, বিষয়টি গুরুত্বর। অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে সাইনবোর্ড গুলো অপসারনসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং কেনো প্রতিষ্ঠানগুলো এমনটি করলো তার কৈফিয়ত নেওয়া হবে।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর