বুধবার   ২২ মার্চ ২০২৩   চৈত্র ৭ ১৪২৯   ২৯ শা'বান ১৪৪৪

 ফরিদপুর প্রতিদিন
সর্বশেষ:
ফরিদপুরে পেঁয়াজের বীজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা নতুন ঘর পাচ্ছেন চরভদ্রাসনের একশ পরিবার পেঁয়াজ চাষে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন রাজবাড়ীর কৃষকরা ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ৭ এপ্রিল রাজবাড়ীতে নতুন করে ঘর পাচ্ছেন ২৭৭ গৃহহীন পরিবার সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান
১৩৭

ফরিদপুরে গ্রামে-গঞ্জে আর নেই আতাফল

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩  

বাংলাদেশের অতিপরিচিত একটি ফল আতা। দেশি ফল হিসেবে খুব বেশি কদর করা না হলেও ফলটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। গ্রামে-গঞ্জে অযত্নে বেড়ে ওঠা আতাগাছ হরহামেশাই দেখা যেতো এক সময়। কিন্তু আর তেমন চোখে পড়ে না। বিশেষ করে ফরিদপুর জেলায় আতাফল এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। 

আতাফল গাছ একসময় গ্রাম অঞ্চলে বা বাড়ির আঙ্গিনাসহ ঝোপ-জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে আতাফল গাছ দেখা যেতো। বর্তমানে ভৌগোলিক, প্রকৃতিক, মানব সৃষ্টির কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে সুস্বাদু আতাফল গাছ। 

আতা এক ধরণের মিষ্টি যৌগিক ফল। প্রধানত, পর্তুগিজ ভাষায় একে আতা ফল বলা হয়। এই ফল ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সংগ্রহ করা হয়। প্রধানত, ফুল ফোটার ৩-৪ মাসের মধ্যে ফল পুষ্ট হয়। ফল পুষ্ট হলে হালকা সবুজ থেকে হলুদ ভাব হয়ে থাকে। সংগ্রহ করা পরিপক্ক ফলগুলো ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে পাকতে শুরু করে। ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী গাছে ১৫০ থেকে ২৫০ টি পর্যন্ত ফল ধরে। এক একটি ফলের ওজন ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ আতাফলের খাদ্যআঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর ভিটামিন এ আছে। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আতা চাষকে পুনরায় আধুনিকায়ন ও গতিশীল করার জন্য কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা প্রয়োজন। শুধু ফরিদপুর নয় গোটা দেশময় একসময়ের হারিয়ে যাওয়া এই জনপ্রিয় ফল গাছ আতা চাষের বিস্তৃতি ঘটাতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এমনটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর