শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
সর্বশেষ:
পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে পরিকল্পিত শিল্পায়ন করতে হবে ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
৫৬৫

সালথায় বিশৃঙ্খলা,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২১  

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উস্কানিতে ইউএনও, থানা ও উপজেলা কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে হেফাজত-জামায়াত ও মামুনুল হকের অনুসারীরা। তারা গুজব ছড়িয়ে আগুন দিয়েছে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায়।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলা পৌর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালথার এসিল্যান্ডের সঙ্গে স্থানীয়দের বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাকে পুঁজি করে স্থানীয় জামায়াত-হেফাজত নেতাদের ইন্ধনে ইউএনও, থানা ও উপজেলা কার্যালয় ঘেরাও করে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও যানবাহন ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এই ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৪/৫ জনের মৃত্যুর গুজব ছড়ায় জামায়াত-হেফাজত নেতারা। প্রকৃতপক্ষে পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্লার ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনি উপস্থিত হন।

জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই স্থানীয় জামায়াতের এক নেতা তার কোমর সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন। এতে তার কোমর ভেঙে যায়। পরে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, হেফাজত ও মামুনুল হকের অনুসারীরা জাকির হোসেন নিহত হয়েছেন এমন মিথ্যা খবর রটিয়ে দেয়। এতে সেখানকার উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরো গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরেও হামলা করে। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর হেফাজত ও মামুনুল হকের অনুসারীরা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে। আর এই ঘটনার সুযোগ নেয় জামায়া-শিবিরের স্থানীয় কর্মীরাও। তারাও হেফাজত ও মামুনুল হকের অনুসারীদের সাথে মিশে অগ্নিসংযোগ করে সরকারি স্থাপনায়।

এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হতাহতের গুজব রটিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। এ সময় জামায়াত-হেফাজত ও মামুনুল হকের অনুসারীরা রাতের অন্ধকারে থানা ও প্রশাসনের কোয়ার্টারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

এসব বিশৃঙ্খলাকারী ও গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর