শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
২৩২

বোয়ালমারীতে বিলুপ্তির পথে দেশীয় আতাফল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২২  

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আতাফল এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। আতাফল গাছ একসময় গ্রাম অঞ্চলে বা বাড়ির আঙ্গিনাসহ ঝোপ-জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে আতাফল গাছ দেখা যেতো। বর্তমানে ভৌগোলিক, প্রকৃতিক, মানব সৃষ্টির কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে সুস্বাদু আতাফল গাছ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে উপজেলার সর্বত্র বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আতাফল গাছ দেখা যেতো। প্রতিটি গাছে ছিল থোকায় থোকায় আতাফল। মিষ্টি এই ফলটির ছোট বড় সবাই খেতে পছন্দ করতো। এমনকি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের।

আতা এক ধরণের মিষ্টি ফল। প্রধানত, পর্তুগিজ ভাষায় একে আতা ফল বলা হয়। শরিফা, মেওয়াও নামে পরিচিত এই গাছের উচ্চতা প্রায় ১০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ফল ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সংগ্রহ করা হয়।

প্রধানত, ফুল ফোটার ৩-৪ মাসের মধ্যে ফল পুষ্ট হয়। ফল পুষ্ট হলে হালকা সবুজ থেকে হলুদ ভাব হয়ে থাকে। সংগ্রহ করা পরিপক্ক ফলগুলো ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে পাকতে শুরু করে। ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী গাছে ১৫০ থেকে ২৫০টি পযর্ন্ত ফল ধরে। এক একটি ফলের ওজন ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ আতাফল এর খাদ্যআঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। আতাফলে প্রচুর ভিটামিন এ আছে। পাকা আতার শাঁস মিষ্টি হয়ে থাকে। খাওয়ার সময় জিভে চিনির মতো মিহি দানা দানা লাগে। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে গুণে ভরা আতাফল।

উপজেলার পাঁচ ময়না গ্রামের মো. জনি মুন্সি বলেন, এই ফল গাছটি আমাদের বাড়িতে ও গ্রামে প্রচুর পরিমাণ ছিল কিন্তু সেই আতাগাছ আজ আর নেই বললেই চলে। হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সু-স্বাদু ফল আতা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গেলে এখনও কিছু কিছু বসত বাড়িতে আতাফল গাছ চোখে পড়ে। নতুন নতুন ফলের ভীড়ে এখন তেমন একটা দেখা যায় না। তবে এটি একটি সুস্বাদু ফল।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন
এই বিভাগের আরো খবর