শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

 ফরিদপুর প্রতিদিন
সর্বশেষ:
পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে পরিকল্পিত শিল্পায়ন করতে হবে ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
১৮০

বিষাক্ত গাছের ভেতরেই নাকি ব্যথার ওষুধ!

লাইফষ্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৩  

এই গাছের পাতা দেখতে হার্ট শেপের মতো। কিন্তু মোটেই কোনও প্রেম নিবেদন করছে না সেটি। বরং এটি ছুঁলে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণায় রীতিমতো পাগল হয়ে যেতে পারেন। অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ার রেইন ফরেস্টে জিম্পি জিম্পি নামের এই গাছ দেখা যায়।

এই গাছ থেকেই ব্যথা কমানোর ওষুধ মিলতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। এবং বিজ্ঞানীদের কথার ভিত্তিতে গবেষণার এমন ফলাফলে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন গবেষকরাও। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দি ইন্ডিপেন্ডন্ট।

সম্প্রতি আস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন ওষুধের সন্ধান দিয়েছেন! তাদের কথায়, এই গাছের মধ্যে একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে যা ব্যাথার জন্য তৈরি আধুনিক ওষুধে দ্রুত শরীরের ব্যথা কমবে।

জানা যায়, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া অঞ্চলে এই গাছ নিয়ে প্রচলিত রূপকথায় বলা হয়, বনের মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে এক পথিক একবার এক জায়গায় বিশ্রামের জন্য বসেন। সেই সময় তার প্রাতঃকৃত্য সারতে ব্যবহার করেছিলেন। সেই পাতার স্পর্শে তার গোপনাঙ্গে তীব্র অসহ্য জ্বালা শুরু হয়। ব্যথা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, রীতিমতো ছটফট করতে করতে নিজের উপরেই গুলি চালিয়ে দেন তিনি!

গল্পটি সত্যি হোক না হোক, জিম্পি জিম্পি গাছটির বিষের তীব্রতা বোঝাতে এই রূপকথা বহুল প্রচলিত। সেই গাছের থেকেই ব্যথা সেরে যাওয়ার ওষুধ তৈরি হবে বলে জানান বিজ্ঞানীরা। 

বিজ্ঞানীদের কথায়, শরীরে ব্যথার অনুভূতি তৈরি করতে একটি সোডিয়াম চ্যানেলকে ব্যবহার করে এই গাছ। সেই চ্যানেল ব্যবহার করতে না দিলেই ব্যথা সারানোর ওষুধে পাল্টে যাবে এই বিষ। এমনটাই ধারণা কুইনসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের। এবার অপেক্ষা শুধু ওষুধের।

 ফরিদপুর প্রতিদিন
 ফরিদপুর প্রতিদিন